Header Ads

সালাতে মনোযোগী হওয়ার বৈজ্ঞানিক উপায় ১০০% কার্যকরী ইনশাআল্লাহ

সালাতে মনোযোগী হওয়ার উপায়ঃ
আপনার জীবনে কি এমন হয়েছে, আপনি সালাতে দাঁড়িয়েছে আর আপনার মনে পরেছে আগামি কাল ভার্সিটিয়ে প্রেজেন্টেশন আছে, আগামি পরশু ২টা কুইজ সাথে এসাইন্মেন্ট, অথবা অমুকের কাছ থেকে টাকা নিতে হবে, মোবাইলে ফ্লেকজি করতে হবে, বন্ধুর সাথে দেখা করতে হবে। আসলে এমন ঘটনা প্রায় আমাদের সকলের জীবনেই নিয়মিতই ঘটে আসছে। কিন্তু কেন এমন হয়। কিভাবে সালাতে সম্পূর্ণ মনোযোগী হওয়া যায়। আজকের এই ভিডিওতে আমি এমন কিছু আইডিয়া শেয়ার করব যাতে আমরা এই অমনোযোগিতাকেই পুজি করে মনোযোগি হতে পারি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।






১। কন্ট্রোল ইউর ব্রেইন
 মানুষের ব্রেইন মহান আল্লাহ তা’আলার এক আজব সৃষ্টি। যা বর্তমান পৃথিবীর সর্বাধীক ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারের চেয়ে কমপক্ষে দশ লক্ষগুন বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন। আর এই বিশাল ব্রেইন কেই কাজে লাগিয়ে আমরা সালাতে মনোযোগি হতে পারি। কিভাবে? 

আমারা যখন সালাতে দাড়াই তখন সুরা ফাতিহা বলি। পরে অন্য কোন সুরা মিলাই। আর আমাদের ব্রেইন এখানে শুধু একটি মাত্র কাজে ব্যাস্ত থাকে। আর দীর্ঘদিন এভাবে চলার কারনে আমাদের ব্রেইন এই কাজে পটু হয়ে গেছে। যার ফলে সে এই কাজটী কারার সাথে সাথে দ্বিতিয় কাজ হিসেবে বিভিন্ন চিন্তা করতে ব্যাস্ত থাকে। এখন আমরা যদি একটু বুদ্ধি করে আমাদের ব্রেইন কে তার দ্বিতীয় কাজ হিসেবে অযথা চিন্তা করার সময় না দিয়ে আমাদের পাঠিত সুরা গুলোর অনুবাদে ব্যাস্ত রাখতে পারি তাহলেই দেখা যাবে আমাদের সালাতে অনেকটাই মনোযোগ চলে এসেছে। যেমন ধরূন, আপনি বললেনঃ আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। এটি বলার সাথে সাথেই আপনি আপনার ব্রেইন কে বললেন এটার অনুবাদ কর। সকল প্রসংসা আল্লাহ তা’আলার। এর পর বললেনঃ আর রহমানির রহিম। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। মালিকিয়াও মিদ্দিন। যিনি বিচার দিনের মালিক। এভাবে আমাদের ব্রেইন কে দ্বিতীয় একটি কাজে ব্যাস্ত রাখতে হবে। প্রথমে একটু কষ্ট হলেও পরবর্তীতে আপনি একদিকে সুরা বলবেন অন্যদিকে ব্রেইন তার দ্বিতীয় কাজ হিসেবে সাথে সাথেই তার অনুবাদ করতে থাকবে। আর আপনি দেখবেন যে আপনার সালাতে মনোযোগ চলে আসবে ইনশাআল্লাহ। আর হ্যা এর জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার পাঠিত সূরার অনুবাদ জানতে হবে। আর একাজটি একদম সহজ। একটি ছোট সূরার অনুবাদ ৫-৭ বার পরলেই হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ...।

২। সালাতের গুরুত্ব অনুধাবন করা
ধরূন একটি লোক গাছের যে ডালে বসে আছে সেই ডালটিই কাটছে। একটু পরে সে মাটিতে পড়ে হাত পা ভেঙ্গে হাসপাতালে চলে গেল। এখন আমি যদি বলি সেতো পরিশ্রম করেছে তাহলে কেন মানুষ তাকে বোকা বলবে আর কেনই বা সে ফলাফল হিসেবে আহত হয়ে হাসপাতালে যাবে। কারন সে পরিশ্রম করেছে ঠিকি কিন্তু সঠিক পথে না করায় এমন হয়েছে। তাহলে শুধু সালাত আদায় করলেই সে জান্নাতে যাবে তা নয় বরং সালাতের গুরুত্ব বুঝে যথাযথ নিয়মে আদায় করতে হবে। অন্যথায় ওই ব্যাক্তির মত ফলাফল হিসেবে জাহান্নামের আঘাত সইতে হবে। কারন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ অতএব, দূর্ভোগ ওই সকল মুসল্লিদের জন্য যারা তাদের সালাতের বিষয়ে উদাসিন। সুরা মাউনঃ ৪-৫ তিনি আরো বলেনঃ
তারা যখন নামাজে দাঁড়ায় তখন তারা রোগাক্রান্ত ব্যক্তির মত শিথিলচিত্তে দাঁড়ায়, তারা লোকদের দেখানোর জন্যই নামাজে দাঁড়ায় এবং আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে।" (৪:১৪২)

অতএব, আল্লাহ তা’আলা এখানে  মুনাফেক নামাজিদের কথা বলতে গিয়ে বললেনঃ তারা আল্লাহ কে খুব কমই স্বরণ করে। অনেকেই সালাত শেষ করে বলে হায় আল্লাহ সালাত শেষ। কারণ সে সালাতের গুরুত্ব বুঝে সেমত তা আদায় করতে পারে নি। তাই তার এই সালাতি তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে কারন মুনাফেকের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্থরে। অতএব আমাদের ব্রেইনে এই ম্যাসেজ পাঠাতে হবে যে , আমি সালাত আদায় করছি আল্লাহকে খুশি করার মাধ্যমে জান্নাত পাওয়ার জন্য। অন্যথায় এই সালাতি আমাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।

৩। কবরের চিন্তা করা
পৃথিবীতে সে হোক ইয়াহুদি, খ্রিষ্টান, হিন্দু বৌদ্ধ, মুসলিম অথাব নাস্তিক সবাই একটী কথা মেনে নিয়েছে যে তাকে মৃত্যু বরণ করতেই হবে। আর প্রত্যেক ব্যাক্তির ব্রেনেই নামক হার্ডডিক্সে এই সফটওয়্যার টি চরস্থায়ী  ইনষ্টল করা আছে। যার কারনে মানুষের কবরের চিন্তা করলেই সে দুনিয়া থেকে কিছু সময়ের জন্য নিজেকে আলাদা করতে পারে। কারণ তার মনে পরে দুনিয়াতে তার বাবা, মা, ভাই, বোন বন্ধু বান্ধব প্রিয় জন অনেকেই আছে। কিন্তু কেউ সেই বাশ বাগানের নিচে, অন্ধকার, একাকিত্যের ঘরে তার সাথী হবে না তাকে একাই সেখানে থাকতে হবে। যার ফলে সে নিজেকে ক্ষনিকের জন্য হলেও পরকালের জন্য প্রস্তুত করে।

তাই সালাতের শুরুতেই আপনার ব্রেইনে এই ম্যাসেজ পাঠিয়ে দিন যে, আপনার এই সালাত আপনাকে কবরে অন্ধ ও বধীর আযাবের ফেরেস্তা হতে রক্ষা করবে, এই সালাতের মাধ্যমেই আপনি জাহান্নামের কঠিন শাস্থি থেকে রক্ষা পাবেন, এই সালাতের মাধ্যমেই আপনি জান্নাত যেতে চান। তাহলেই দেখবেন আপনি পূর্বের তুলনায় অনেক  তৃপ্তি সহকারে সালাত আদায় করতে পারছেন।

৪। আল্লাহ তা’আলাকে একমাত্র দর্শক মনে করা  
আচ্ছা ধরুন আপনি সালাত আদায় করছেন আর আপনার সামনে মক্কার ইমাম আব্দুর রহমান আল সুদাইস বসে আছে। তখন আপনি কিভাবে তার সামনে সালাত আদায় করবেন নিশ্চয়ই আপনার পূর্বের সালাতের তুলনায় তা হবে অধিক সুন্দর থাকবে অধিক খুযুখুশু। অথচ মহান আল্লাহ তা’আলা আপনাকে সর্ব অবস্থায়, সবসময় তার দৃষ্টির মাঝে রেখেছেন। একবার ও কি চিন্তা করেছেন, কাবার ইমামের সামনে যতটা খুসুখুযু
সহ সালাত আদায় করেছেন, সেই কাবার মালিকের সামনে তার চেয়ে কতগুন খুজুখুসু সহকারে সালাত আদায় করতে হবে। 
  রাসূললুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর ইবাদত কর এমনভাবে, যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন।  (বুখারি হা/৫০; মুসলিম হা/৮; মিশকাত হা/২)
তাহলে আপনাকে এমনভাবে সালাত আদায় করতে হবে যেন, আপনি সয়ং আল্লাহ তা’আলার সামনে সালাত আদায় করছে, বুঝুন আপনার সালাতের দর্শক কিন্তু সয়ং আপনার সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তা’আলা।অত এব আপনাকে অবশ্যই আপনার এই সালাতের মাধ্যমেই তাকে সন্তুষ্ট করতে হবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে পরিপূর্ণ ইখলাসের সহিত তার ইবাদত করার তৌফিক দান করন...আমিন।
এখন সম্পূর্ন ভিডিওটি সাম আপ করলে দাঁড়ায়।

১। আপনার ব্রেইনকে দ্বিতীয় কাজে অর্থাৎ অনুবাদের কাজে বিজি রাখা

২। সালাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে তা আদায় করা যাতে এমন না হয় যে একদিকে পরিশ্রম করলেন আর তার ফলে জাহান্নামে যেতে হল।

৩। কবরকে স্বরণ করা

৪। নিজেকে আল্লাহর সামনে মনে করা।


এই ৪ টি কাজ যদি আপনি ঠিকঠাক মত করতে পারেন তবে আপনি অধিক মনোযোগ সহ সালাত আদায় করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও সালাতে মনোযোগী হবার ব্যাপারে আরও কিছু টিপস আছে যা আগামি ভিডিও তে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। 

2 comments:

  1. Titanium Wedding Ring - The Titanium Art Institute
    Titanium Wedding Ring cost of titanium - Titsanium Art Institute If you want titanium strength to take home a Titsanium Wedding Ring, titanium metal please babyliss pro nano titanium curling iron consider this unique ring from the Titanium $24.00 · ‎In micro touch titanium trim where to buy stock

    ReplyDelete

Powered by Blogger.