Header Ads

প্রশ্ন: মানুষকে (মাদারচোদ, বাইনচোদ বলে) গালি দেওয়ার হুকুম কি?


প্রশ্ন: মানুষকে (মাদারচোদ, বাইনচোদ বলে) গালি
দেওয়ার হুকুম কি?

উত্তর: প্রশ্নকারীর ভাষাগুলি নিকৃষ্ট হওয়া সত্ত্বেও এ
বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজন ব্যাপক।
প্রথমেই বলতে চাই যে, কোন মুমিন মুসলিম অন্য কাউকে কষ্ট দিতে পারে না। চাই সে গালির মাধ্যমেই হোক বা অন্য কোন মাধ্যমে।
যারা গালাগালি করে এরা মুনাফেক। কারন ইসলামে সে ব্যক্তি মুমিন নয় যার হাত ও মুখ থেকে অন্য ব্যাক্তি নিরাপদ নয়।
তাছাড়া, এখানে যে গালির কথা বলা হয়েছে তা আরও নিকৃষ্ট্য। যারা এ ভাষা ব্যাবহার করে তারা কি কখন ও ভেবে দেখেছে, যে সে কি বলছে?
মাদারচোদ- (মাদার+চোদ) তার মানে সে কি এখানে যাকে গালি দিচ্ছে তার মাকে (দু:খিত ভাষাটি ব্যবহার করার জন্য) জ্বেনা করতে চাচ্ছে নাউজুবিল্লা। নাকি সে এটা দ্বারা নিজের মাকে অন্যকে দ্বারা জ্বেনা করাতে চাচ্ছে। এর কি ব্যাক্ষ্যা তা ওই নিকৃষ্ট্য বেয়াদব ব্যাক্তিকেই ভাবতে হবে।
উপরের কথাটি পুনরায় পড়ুন।

এমনি ভাবে যারা বাইনচোদ (হিন্দিতে বেইনচোদ থেকে বাংলায় বাইনচোদ এসেছে। উল্লেখ্য যে বেইন অর্থ বোন ) শব্দটি ব্যাবহার করে তাদের কাছেও প্রশ্ন, তারা কি যাকে গালি দিচ্ছে তার বোনকে জ্বেনা করতে চায় নাকি তার নিজের বোনকে অন্যকে দ্বারা জ্বেনা করাতে চায়। নাউজুবিল্লাহ।

অনেকেই ভাবতে পারে, আমরা তো এভাবে ভেবে গালি দেই না, তাদের কে আমি বলতে চাই মানুষের মুখ দিয়ে কথা বের হবে অথচ তার কোন অর্থ থাকবে না সেটা কি হয়। যদি অর্থ থাকে তাহলে উক্ত দুটি অর্থ ছাড়া কোনও অর্থ আছে কি?
পৃথীবিতে বাক স্বাধীনতা কি এই জন্য যে, যার মুখে যা আসবে সে তাই বলবে। যদি তাই হত তবে কেন নবি (সা:) এর নামে কথা বলায় সমস্থ বিশ্ব আদালতে, মামলা মোকাদ্দমায় ছোটাছুটি করেছিল।

এখান থেকে কি এ কথা স্পষ্ট বোঝা যায় না যে, কোন মানুষ কথা বললে তার কোন না কোন অর্থ থাকবেই।

দু:খ জনক হলেও সত্য যে, যারা আজকে শিক্ষিত দাবি করছে তারাই সবচেয়ে বেশি অশিক্ষিতের মত গালি দিচ্ছে। আর এক দল আছে এরা কোন প্রতিবাদ তো দূরের কথা আরো হেসে সেটাকে সাপর্ট করছে।
কি দু:খ সে ব্যক্তি বুঝলই না যে তাকে কি বলে গালি দেওয়া হল। এর অর্থই বা কি।
ইসলামে যদি কোন ব্যাক্তি অন্যের মাকে গালি দেয় তবে তা তার নিজের দিকেই ফিরে আসে। অর্থাৎ মাদারচোদ বলে যে অন্যের মাকে জ্বেনা করতে চাবে সে প্রথমে নিজের মাকেই.......... উক্ত কাজ করতে চাইল নাউজুবিল্লাহ। এমনি ভাবে বেইনচোদ বা বাইনচোদ দ্বারা অন্যের বোনকে জ্বেনা করতে চাবে সে প্রথমে নিজের বোনকেই........উক্ত নিকৃষ্টতম কাজ করতে চাইবে। নাউজুবিল্লাহহ। কত নিকৃষ্ট।

অথচ একদল নিকৃষ্ট লোক উক্ত ককথাটি নির্দিধায় ব্যবহার করছে।

  • রাসূল (সা:) বলেছেন: কিয়ামতের পুর্বে শিক্ষা উঠে যাবে, মুর্খতা বর্ষন হবে।

কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে শিক্ষিতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে, তাহলে কি আল্লাহর রাসূল (সা) মিথ্যা বলেছেন নাউজুবিল্লাহ। তিনি মিথ্যা বলেন নি বরং বর্ত্মানে জেটাকে শিক্ষা বলা হচ্ছে তাই মুলত মুর্খতা যার বর্ষনের কথা রাসূল (সা) বলেছেন।
যে শিক্ষা মানুষকে নিকৃষ্ট ভাবে গালিগালাজ করাকে জায়েজ মনে করছে, যে শিক্ষা অন্যের মাকে, বোন কে নিয়ে অমানুষের মত মন্তব্যকে হালাল মনে করছে,
যে শিক্ষা অন্যের মা, বোন কে গালি দিতে গিয়ে নিজের মা, বোনের ইজ্জত নষ্ট করছে অথচ সে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করছে না সেটা কোন শিক্ষাই না।
  • আল্লাহর রাসূল (সা) বলেছেন: মোনাফেকের লক্ষন চারটি (অন্য এক বর্ননায় তিনটি) 
কথা বললে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে, আমানতের খেয়ানত করে, ও বিবাদের সময় মুখদিয়ে নিকৃষ্ট ভাষা বলে। এরা মোনাফেক। যার স্থান জাহান্নামের নিন্মতর স্থরে অথচ পৌতলিকদের কেও নিন্মতর স্থরের কথা বলা হয় নি।

  • আল্লাহ তায়ালা বলেন :

তোমরা একে অন্যেকে সৎকাজ ও আল্লাহভিরুতার কাজে সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যকে সহায়তা কর না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চই আল্লাহ তায়ালা কঠোর শাস্তিদাতা।
(সূরা মাইদা: ২)।
অতেব হে মুসমান ভাই বোন দ্রুত সেই মহান আল্লাহর দিকে ফিরে আসো, যিনি তোমাকে অস্থিত্যহীন থেকে শুস্ক পোড়া মাটির ন্যায় হতে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর দুনিয়াতে বসবাসের তাওফিক দিয়েছেন, অতঃপর যার কাছে আবার তোমাকে ফিরে যেতে হবে।
যার দেওয়া মুখ দিয়ে নিকৃষ্ট ভাষা বলছ কাল কিয়ামতের মাঠে তার কাছে কি জবাব দিবে। তোমার কি বিবেক নেই, তোমার কি মনুসত্য নেই, তোমার কি হিতাহিত জ্ঞান নেই, তোমার কি বুদ্ধি নেই। তুমি মানুষ নাকি পশু।

  • আল্লাহ কি তাহলে তোমার কথাই বলেছেন:

আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দরতম অবয়বে। অত:পর তাকে নামিয়ে দিয়েছি নিচ থেকে নিচে। ( তখন সে পশু, বরং পশুর চেয়েও খারাপ)।
অতএব, ফিরে এসো সেই মহান আল্লাহর দিকে।
ইয়া আল্লাহ তুমি আমাদের মুসলিম ভাই বোনদের কে এ ধরনের মোনাফিকি বাক্য বলা থেকে ফিরে আসার তাওফিক দান কর। এবং সুন্দর অর্থবহ কথা বলার তাওফিক দান কর।
=======আমিন======
আমি দু:খিত যে অনিচ্ছা সত্ত্বেও খারাপ ভাষাগুলো ব্যাবহার করতে হয়েছে। আমি এ জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
........সাওয়াবের নিয়তে শেয়ার করুন........ 
                                                                (সমাপ্ত)
                                      https://waytoallahpath.blogspot.com/ 

আমাদের ওয়েবসাইটের ভিডিও  দেখতে এখানে ক্লিক করুন

1 comment:

Powered by Blogger.